Civic Volunteer: ‘অষ্টম শ্রেণী পাস যোগ্যতায় এক লক্ষেরও বেশি শূন্য পদে রাজ্য জুড়ে নিয়োগ করা হচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের’, কিছুদিন আগে এমনই এক খবর উঠে এসেছিল সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই খবর পুরোপুরি ভুয়ো বলে দাবি করা হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশের তরফ থেকে। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্যই থাকল এই প্রতিবেদনটি।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কী কী কাজ করতে হয়? কারা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারে? কিভাবে আবেদন করতে পারবেন সিভিক ভলেন্টিয়ার পদের জন্য? বেতন কত দেওয়া হয়ে থাকে? ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন এখনই।
কন্টেন্ট রাইটার, ভিডিও এডিটর, ভয়েস ওভার আর্টিস্ট, কপি রাইটার এছাড়াও আরো অনেক গুলি পদে
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কী কী কাজ করতে হয়?
সিভিক ভলেন্টিয়ার দের কাজ সাধারণত পুলিশকে আইন রক্ষায় সাহায্য করা। ২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশদের সাহায্য করার জন্য গ্রীন পুলিশ পদের মাধ্যমে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কতক্ষণ কাজ করতে হয়?
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ৩০ দিনে মোট ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এছাড়াও তারা পেয়ে যান মোট ১৪ টি ক্যাজুয়াল লিভ।
আবেদন করার জন্য বয়সসীমা কী থাকতে হবে?
সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে আবেদনের জন্য চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সের হতে হবে। ৬০ বছর পর্যন্ত বয়সী চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এই পদের জন্য।
আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হতে হবে?
সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী পাস করতে হয়।
কবে সামনে আসতে পারে বিজ্ঞপ্তি?
সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্মী নিয়োগের জন্য অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি চলে আসতে পারে কিছুদিনের মধ্যেই। অনেকেই মনে করছেন লোকসভা ভোট চলাকালীন এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে। শুধু তাই নয় লোকসভা নির্বাচনী সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও আসতে পারে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি।
মাসিক বেতন কত?
বর্তমানে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্মী হিসেবে নিয়োগ করার পর মাসিক বেতন দেওয়া হয় ৯০০০ টাকা। পুজোর সময় তাদেরকে বাড়তি বোনাস দেওয়া হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গ্রুপ ডি পদের জন্যই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। চাকরিপ্রার্থীকে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মধ্যে যে কোন জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
আবেদনকারী আবেদন পত্র কোথায় জমা দেবেন?
আবেদনকারীদের কে আবেদনপত্র সম্পূর্ণভাবে পূরণ করে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর সাথে নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে জমা করে দিয়ে আসতে হয়।