যত দিন যাচ্ছে ততই নিজেদের পরিষেবা উন্নত করার দিকে মন দিচ্ছে ভারতীয় রেল। লাইফলাইন, এই কথাটা মনে পড়লেই সর্বপ্রথম যার নাম ভেসে আসে তা হল ভারতীয় রেলওয়ে। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজি-রুটির বিশেষ ভরসা এই মাধ্যম।
ট্রেনে তো সবাই চাপেন। ভারতীয় রেলের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যার সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আপনি কি জানেন শুধুমাত্র নির্ধারিত সীমার মধ্যেই ট্রেনের লাগেজ বহন করতে পারেন যে কোন মানুষ। এমনকি কোন কোচে কত কেজি লাগেজ বহন করা যাবে সেই বিষয়ে রয়েছে নানারকম নিয়ম। যা না মানলেই হতে পারে মোটা অংকের জরিমানা।
কন্টেন্ট রাইটার, ভিডিও এডিটর, ভয়েস ওভার আর্টিস্ট, কপি রাইটার এছাড়াও আরো অনেক গুলি পদে
লাগেজ পরিবহনের নিয়ম:
ভারতীয় রেলওয়ে নিয়ম অনুযায়ী কোনও যাত্রী যদি ফার্স্ট ক্লাস কামড়ায় ওঠেন তাহলে তিনি ৭০ কেজি পর্যন্ত লাগেজ বিনামূল্যে নিয়ে যেতে পারেন। যখন কোনও ব্যক্তি AC-2 Tiar এ যাত্রা করেন সেক্ষেত্রে তিনি 50 কেজি পর্যন্ত লাগেজ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া যদি কোনও ব্যক্তি AC-3 Tiar যাওয়া-আসা করেন তাহলে তিনি লাগেজ বহন করতে পারেন 40 কেজি পর্যন্ত।
যদি কোন ব্যক্তি চান স্লিপার ক্লাসে যাতায়াত করতে তাহলে তিনি 40 কেজি পর্যন্ত লাগেজ নিজের সঙ্গে রাখতে পারেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর কামড়ায় এর পরিমাণ আরো কমে হয়ে যায় 35 kg।
ভারতীয় রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা অনুযায়ী বাহ্যিক পরিমাপের ট্রাঙ্ক, স্যুটকেস এবং বাক্সগুলি যাত্রীবাহী কোচে লাগেজ হিসাবে সাধারণভাবে বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। যদি ট্রাঙ্ক, স্যুটকেস এবং কোনও বাক্স এর পরিমাপ নির্ধারিত সীমা কোনও ভাবে অতিক্রম করে যায় তাহলে এই আইটেম গুলি ব্রেকভ্যানের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক।
প্রসঙ্গত AC-3 Tiar এবং AC চেয়ার কার বগিতে বহন করা যায় এমন ট্রাঙ্ক, স্যুটকেস সর্বাধিক আকার 55 সেমি x ৪৫ সেমি x ২২.৫ সেমি পর্যন্ত হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি রয়েছে ট্রেনের মধ্যে যাত্রীবহনেও নিষেধাজ্ঞা। কোনও রাসায়নিক আতশবাজি, গ্যাস সিলিন্ডার, অ্যাসিড, গ্রীস। ইত্যাদি কোনওভাবেই যাত্রীরা নিজের সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করতে পারেন না। যদি কোনও যাত্রী এই সমস্ত জিনিস নিয়ে যাত্রা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তাহলে তার বিরুদ্ধে 164 নম্বর ধারায় কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।